মেট্রোরেল নির্মাণকাজ ও ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কারণে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে যানজটের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের লাইন যাবে এই সড়কের নিচ দিয়ে, যার ফলে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলাচল ও সড়কের উভয় পাশে নির্মাণসামগ্রীর জটলা।
এই দুর্ভোগ লাঘবে প্রগতি সরণির চাপ কমাতে বিকল্প করিডর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক থেকে বসুন্ধরা-মাদানী অ্যাভিনিউ, আফতাবনগর হয়ে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত বিকল্প রুট তৈরি করবে সংস্থাটি।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, “মেট্রোরেলের কারণে যেসব ইউটিলিটি লাইন সরাতে হবে, তার ফলে প্রগতি সরণি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই আমরা আগে ডাইভারশন রোড তৈরি করতে বলেছি। অন্তত তিন থেকে চারটি বিকল্প করিডর নির্মাণের কাজ শুরু হবে।”
প্রথম করিডরটি শুরু হবে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের ২ নম্বর ইন্টারসেকশন থেকে। এটি যাবে বসুন্ধরা-মাদানী অ্যাভিনিউ, ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি ও সানভ্যালি আবাসিক হয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত এবং সেখান থেকে মিলবে রামপুরা ব্রিজে। এতে নগরবাসী প্রগতি সরণি না পেরিয়েই রামপুরা পৌঁছাতে পারবেন।
এজাজ আরও বলেন, “প্রগতি সরণির সাথে সম্পৃক্ত একাধিক করিডর রয়েছে। আমরা সেগুলোকে সংযুক্ত করে বসুন্ধরার ভেতর দিয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।”
আগামী জুন মাসে প্রথম করিডরের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ডিএনসিসির আশা, এসব বিকল্প রুট চালু হলে প্রগতি সরণির জনদুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে।